..

বাংলায় লিখি। বাংলাই লিখি।

ছোটগল্প, উপন্যাস, ও গানের কবিতা জুড়ে থাকে আমার লেখার খাতা। কিছু অণুগল্প লিখেছি, নাম দিয়েছি চুনোগল্প। আর লিখি মুহূর্তের চিন্তা ভাবনা। সেগুলোরই কিছু কিছু এখানে তুলে দেওয়ার ইচ্ছে।

জন্ম নিয়েছি সাতের একুশ ছিয়াশিতে। বাবা শেখ আব্দুস সামাদ। সংবেদনশীল এবং স্বপ্নবাজ মানুষ ছিলেন। বাঁশি বাজাতেন। ছিলেন বাঁশের বাঁশির মতোই, কঠিন; বাজাতে পারলে আবার বেজেও উঠতেন সুরে সুরে। ভরাট গলায় সুরেলা গান গাইতেন। তাঁর কণ্ঠের সুরের মতোই কোমল আমার মা। আয়শা খাতুন। সংসারশিল্পী। পরোপকারী এবং সহিষ্ণু; সরল যেন পানি। প্রয়োজনে বরফ হন, প্রয়োজনে বাষ্প। তাঁদের দোষ-গুণের উত্তরাধিকার আর শ্রমে-ঘামে ভিত গেঁড়ে দাঁড়িয়ে আছে ছোট্ট কুঁড়েঘর, খামারপাড়ায়। গ্রামটি সোনানদীয়া নামক এক কিংবদন্তীজড়ানো বাঁওড়ের জলে ধোয়া। অবস্থান যশোর জেলার শার্শা উপজেলায়।

পড়াশোনা করেছি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এবং ইউআইবিই, বেইজিং-এ। পেশা অধ্য়াপনা, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, রংপুর-এ পড়াই।

অন্যচোখে (২০১৮); বা অথবা কিংবা (২০২০); চোখ খুলি না, চক্ষু লোনা (২০২১); এবং স্বরূপকথা (২০২২) এখন পর্যন্ত প্রকাশিত বই।

বেশকিছু গান লিখেছি, যার অধিকাংশই অপ্রকাশিত। প্রকাশিত গানগুলোর মধ্যে প্রথম ‘ও চাঁদ’ নামক গানটা ডেইলি স্টার-স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড সেলিব্রেটিং লাইফ প্রতিযোগিতা ২০০৯ এ গীতিকবিতা বিভাগে দ্বিতীয় সেরা লিরিকের পুরস্কার পায়। গানটি সঙ্গীতশিল্পী বাপ্পা মজুমদারের সুর ও সঙ্গীতে শিল্পী ফাহমিদা নবী গেয়েছেন। পর্বর্তীতে আরো দু’বার আমি এই পুরস্কার পেয়েছি- ২০১০ সালে ‘তোর চলা কে রুখতে পারে’ ও ‘লক্ষ্যে ঠিকই পৌঁছে যাব আজ অথবা কাল’ শীর্ষক গানের জন্য তৃতীয় এবং ২০১২ সালে ‘এভারেস্ট’ ও ‘বাংলামায়ের পাগল’ গানের জন্য তৃতীয় পুরস্কার অর্জন করেছি। পরবর্তীতে আমার আরো কিছু গান গীত হয়েছে।

ইমেইল: ashanuzzaman@gmail.com / ashanuzzaman@brur.ac.bd